উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বিএনপি এখন বাংলাদেশের মেরুদন্ডকে আঘাত হানতে চায় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালের আজকের দিনে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফলে আমাদের আনন্দের দিনকে বিষাদের দিনে রুপান্তরিত করেছে বিএনপি। তাদের অপরাজনীতি অনাদিকাল থেকে চলে আসছে। তবে আমরা তাদের রুখতে প্রস্তুত আছি।
আজ রাজধানীর আজিমপুরে সেভেন মার্ডার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আলোচনা সভায় যুক্ত হন।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে। কিন্তু বিএনপি পরাজয় মেনে নিতে চায় না বলেই ১৯৯৪ সালের আজকের দিনে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরের দিন বিএনপির পরাজিত কাউন্সিলর আবদুল আজিজ পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে সশস্ত্র হামলা চালায়। নৃশংস ব্রাশ ফায়ারে সেদিন লালবাগের মাটি রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। সেদিনের বিজয় আনন্দ বিষন্ন বেদনায় রূপ নেয়। যাতে সাতজন আওয়ামী লীগের নেতা প্রাণ হারায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অপরাজনীতি শুধু ১৯৯৪ সালেই নয়, ২০০১ সালেও তারা ক্ষমতায় এসে ২১ হাজার নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত করেছিলো বাংলার জনপদ।
গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যার রাজনীতির ধারাবাহিকতা বহন করে চলছে বিএনপি। উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বিএনপি এখন বাংলাদেশের মেরুদন্ডকে আঘাত হানতে চায়। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দিতে প্রস্তুত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বিশ্বাস করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষ জেগে উঠেছে বলেই ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে বিএনপি মাঠ গরম করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ বিএনপির অপরাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই তাদের পৌরসভা নির্বাচনে এমন পরাজয়। অপরদিকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়। বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে শুধু নির্বাচন ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, তারা প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেয়, তাদের রাজনীতিতে পরমত সহিংসতা নেই।