বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এদিনে ভোরে চট্রগ্রামের সর্কিক হাউসে কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। বিএনপি ও সমমননা দল এবং অঙ্গসংগঠনগুলো সেদিন থেকে দিনটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ রোববার ভোরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ, সকালে ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মহানগরীর ৮০টি স্থানে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অসহায়-দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
এতে বিএনপি মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। শনিবার বিকালে দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। এছাড়া ১ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের ওপর বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি, তাকে হত্যা করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। তিনি দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে আছেন, থাকবেন।