মেয়র কাদের মির্জা ও তার সহযোগীরা গ্রেফতার না হলে তার চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু। তিনি বলেন, কাদের মির্জারসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ ডাকা হলেও প্রশাসন তারেদ গ্রেফতার করেনি। তাদেরকে গ্রেফতার না করা হলে তীব্র অবরোধ কর্মসূচি চলবে। সোমবার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।
মঞ্জু বলেন, এখানে আরও তীব্র অবরোধ কর্মসূচি চলবে। আন্দোলনের মুখে এই অপশক্তি ভেসে যাবে। এরপর কর্মসূচি কী হবে, তা সময়মতো জানানো হবে। শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু ফেসবুকে লাইভে এসে কোম্পানীগঞ্জে ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ডাক দেন। কাদের মির্জার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এই অবরোধ ডাকা হয়।
তিন দিন পরও মামলা নেয়নি পুলিশ : এদিকে শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার তিন দিন পরও কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাসিব আহসান আলাল। এজাহারে বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ছেলে তাশিক মির্জা ও ভাই শাহাদাত হোসেনের নাম থাকায় পুলিশ মামলাটি নিচ্ছে না বলে আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন। এর আগে শনিবার রাতে আলাল ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দেন। নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, এজাহারে আসামির তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, এজাহারটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য তাদের বলার পর তা এখনো জমা দেওয়া হয়নি। এদিকে মিজানুর রহমান বাদলের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম কাদের মির্জার : অপরদিকে কাল (বুধবার) থেকে কোম্পানীগঞ্জে সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আজ (মঙ্গলবার) বিকালের মধ্যে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের সময় বেঁধে দেন তিনি। দাবি মানা না হলে বুধবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। সোমবার সকাল পৌনে ৯টায় বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে দাঁড়িয়ে মাইকে তিনি এ ঘোষণা দেন।