সময়ের ব্যবধানে রাজধানীতে যানবাহনের উপস্থিতি বেড়েছে

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের আজ তৃতীয় দিন। গত দু’দিনে রাজধানীর সড়কে জরুরী কাজে ব্যবহারের জন্য রিক্সার উপস্থিতি থাকলেও সময়ে ব্যবধানে যানবাহনের যান বাহনের উপস্থিতি বেড়েছে। সর্বাত্মক লকডাউন হিসেবে যদিও তা একেবারেই নগণ্য।

আজ (শনিবার) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরিবহণের এমন পরিস্থিতি লক্ষ করা যায়।

রাজধানীর প্রগতি সরণি, রামপুরা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, আগের দুইদিনের মতো আজও সড়কে তেমন একটা মানুষ বের হননি। তবে গত দুই দিনের তুলনায় কিছুটা মানুষ বেড়েছে। সেই সঙ্গে কিছু প্রাইভেট যানবাহন, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ ছাড়া অন্য যানবাহন চলতে দেখে যায়নি। কিছু কিছু অফিস খোলা থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অফিসের গাড়ি অথবা রিকশাযোগে চলাচল করছেন। সড়কে আজ রিকশার সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।

হাবিবুর রহমান নামের একজন অফিসগামী বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কিন্তু জরুরি সেবার কারণে আমাদের অফিস খোলা। অফিস নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে তাদের কর্মীদের আনা-নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই অফিসের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। তবে এবারের লকডাউনে বাইরে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম দেখা যাচ্ছে। তবে লকডাউনের প্রথম দুই দিনের তুলনায় আজ সড়কে মানুষ বেড়েছে।

একই রকমের মন্তব্য জানালেন রামপুরা ব্রিজের নিচে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা রিকশাচালক শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত দুই দিনের চেয়ে আজ রাস্তায় মানুষ এবং যানবাহন কিছুটা বেশি। যে কারণে আগের দুই দিনের তুলনায় আজ সকাল সকাল ট্রিপ বেশি পেয়েছি। গত দুই দিন তো তেমন একটা ট্রিপই পাইনি, আজ তাও পাচ্ছি। আজ সড়কে রিকশাও বেশি নেমেছে। তবে অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের লকডাউনে মানুষ কম বের হচ্ছে। এবারের লকডাউনকে সফল করতে পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

এদিকে প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজ চলাচল। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট প্রদর্শন করে গাড়ি ব্যবহারপূর্বক যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা এবং বিদেশগামী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীরা অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে চলাচল করতে পারবেন।

বিধিনিষেধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র বহন করে যাতায়াত করতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, কার্গো ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র ও স্থল) এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিস এই নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।শিল্প কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।