‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার আর নেই

লক্ষ প্রাণের তাজা রক্তে অর্জিত এ মাতৃভূমি। তাদের প্রাণের মূল্য কোন ভাবেই শোধ করার নয়। মুক্তি যুদ্ধে প্রাণ বিলানো আমাদের তুর্কীদের নিয়ে শব্দে সাজানো সম্মাননার ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার ফজল-এ-খোদা আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ও ইন্না ইলাহে রাজিউন) মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

রোববার ভোর ৪টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ গুণী মারা গেছেন।

তার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ছেলে সজীব ওনাসিস।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতার সঙ্গে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।

১৯৬৩ সালে বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ফজল-এ-খোদা। অবসরে যান বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক হিসেবে।

ফজল-এ-খোদার লেখা ও আব্দুল জব্বারের গাওয়া ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটি একাত্তরে স্বাধীনতাকামী বাংলার মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল।

এছাড়া ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রং শাড়ী পড়ে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো, পথের ধুলোয় লুটোবে’র মতো শ্রোতাপ্রিয় গান লিখে গেছেন তিনি।

গান লেখার পাশাপাশি ছড়াকার, সংগঠক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন ফজল-এ-খোদা। শিশু কিশোর সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সত্তর দশকে তিনি শিশু কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ সম্পাদনা করেন। তার লেখা ১০টি ছড়াগ্রন্থ, ৫টির কবিতার গ্রন্থসহ তার মোট ৩৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

সজীব ওনাসিস জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘণ্টা দুয়েক পর রায়ের বাজার কবরস্থানে তার বাবাবে সমাহিত করা হবে।