করোনা মহামারির বিধিনিষেধ থাকায় পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকাতেই থাকবেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা। তবে নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ উপহার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী পাঠিয়েছেন সবাই। অনেকে আবার ঈদের আগে নির্বাচনি এলাকা ঘুরেও এসেছেন। নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতেও ছুটছেন কেউ কেউ।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ঈদ করবেন ঢাকায়। রোববার তিনি জানিয়েছেন, ঢাকায় ঈদ করলেও কয়েকদিন ধরেই তিনি টাঙ্গাইলে রয়েছেন। নির্বাচনি এলাকায় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সীমিত পরিসরে দেখা করে ঢাকায় চলে আসবেন। করোনার বিধিনিষেধ থাকায় তিনি ঢাকাতেই ঈদ করবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহও ঈদ করবেন রাজধানীতে। তিনি বলেন, করোনার নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা। সেখানকার করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে। তাই করোনাকালে তিনি সস্ত্রীক ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে নিজের নির্বাচনি এলাকার নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখছেন ঢাকায় বসেই। গুরুতর অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পর তিনি সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবনেই থাকছেন। কদাচিৎ বাইরে বের হন। সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের টিপু সময়ের আলোকে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঢাকাতেই কোরবানির ঈদ করবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ নিজ জেলা কুষ্টিয়া ঘুরে এসেছেন। তিনিও ঈদ করবেন ঢাকায়। হানিফ বলেন, করোনাকালে ঈদ উদযাপনও সীমিত। করোনার মধ্যে ঈদের আনন্দ করার সময় নয়। যতটা সম্ভব সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ইউরোপ সফর করে গত রোববার দেশে ফিরেছেন। তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী ইমরান শরীফ ইমু। তাই ঈদ করবেন ঢাকার মিন্টো রোডের বাসায়।
আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ঈদে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর যাবেন। তিনি বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ঈদ উদযাপনের জন্য বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করেছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া যাবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম রোববারই জামালপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। তিনি জানান, জামালপুরে ঈদ উদযাপন শেষে তিনি ঈদের পর ঢাকায় ফিরবেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদ করবেন দিনাজপুরে। তিনি জানান, গত ১৬ তারিখ থেকে তিনি এলাকায় অবস্থান করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতালে অক্সিজেন লাইন উদ্বোধন, দরিদ্রদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণসহ জেলার বেশকিছু সরকারি কর্মকাণ্ডে তিনি অংশ নিচ্ছেন। এলাকায় বসে অনলাইনে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন। ঈদের পরদিন তিনি ঢাকায় ফিরবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন রোববার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী গেছেন। সেখানেই ঈদ উদযাপন করবেন বলে সময়ের আলোকে জানিয়েছেন তিনি।
আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনও ঈদ উদযাপন করবেন ঢাকায়। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ঢাকাতেই থাকবেন ঈদে।
তিনি বলেন, সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদ উপহার পাঠিয়েছি নিজ এলাকায়। ঢাকায় ঈদের দিন সারা দেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় করব। দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সময়ের আলোকে জানান, ঈদে তিনি ঢাকায়ই থাকছেন। এ ছাড়া ঢাকাতেই ঈদ উদযাপন করবেন আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান।