ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে দলটির অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জনবিচ্ছিন্নতার কারণে তারা পুলিশের আশ্রয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে চায়।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ফখরুল বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের নেতাকর্মীরা শত বাধা উপেক্ষা করে মাজারে উপস্থিত হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তারা কবর জিয়ারত করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ জন্য তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন ও গুলি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে চায়।
‘আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করা সম্ভব হবে। আর এই আন্দোলনে উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি নেতৃত্ব দেবে এই প্রত্যাশা আমরা করি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার ও পুলিশের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।
আজকের ঘটনায় কতজন আহত হয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এখনও আমরা হিসাব করিনি।
বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। শান্তিপূর্ণভাবে ফুল দিতে এসেছিল নেতাকর্মীরা। সেখানে উসকানির তো প্রশ্নই উঠে না, বরং পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এর আগে সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জিয়ার মাজারে ফুল দিতে যায়। এ সময় চন্দ্রিমা উদ্যানের সব গেট বন্ধ ছিল।
পরে অনেকেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠের পাশের দেয়াল টপকে জিয়ার মাজারে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ে। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়েছেন।
তবে সংঘর্ষের পর নেতাকর্মীরা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।