গভীর রাতে স্ত্রীসহ পল্লী চিকিৎসককে শ্বাসরোধ করে হত্যা

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্ত্রীসহ পল্লী চিকিৎসককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন-একই এলাকার পল্লী চিকিৎসক সৈয়দ বিলাল হোসেন (৭৫) ও তার স্ত্রী সফুরা বেগম (৫৫)।

রোববার গভীর রাতে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের সুবর্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতদের পুত্রবধূ শিউলী বেগমকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম।

স্থানীয় পাঁচথুবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল বলেন, মধ্যরাতে সাত থেকে আটজনের একদল দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে ওই দম্পতির কাছে কিছু একটা চাইছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়।

একপর্যায়ে তাদের মারধর এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায় ঘাতকরা। তবে দুর্বৃত্তরা কারা স্বজনরা সেটি নিশ্চিত হতে পারেননি।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রী দুজনের হাত পা বেঁধে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ পিবিআই ও সিআইডির প্রতিনিধিদল।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, গত প্রায় দুই মাস আগে নিহত সৈয়দ বিলাল হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই সময় লুট হওয়া মালামাল কিছু দিন পরে পুত্রবধূ শিউলী বেগমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিউলি স্বীকার করেন ডাকাতির ঘটনা তিনি সাজিয়েছেন। এর পর এমন ঘটনা আর কখনও করবেন না, এমন মুচলেকা দিয়ে শিউলি ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন।

স্থানীয়দের ধারণা, হত্যাকাণ্ডের পেছনেও তিনি জড়িত থাকতে পারেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই পল্লী চিকিৎসক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহতদের পুত্রবধূ শিউলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে সেই রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে।