গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বিএনপি ষড়যন্ত্রের নতুন কৌশলে হাটা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশের জনসাধারণের কাছে মিথ্যার ঝুড়ি ফেরি করে দেশ ও দেশের বাহিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বিএনপি আবারও বিঘ্ন সৃষ্টি করতে নতুন নতুন কৌশলে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি একদিকে যেমন দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তেমনি বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
রোববার সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে আগমনের প্রাক্কালে বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার মহামারির কারণে গত ১৯ মাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফর করেননি। কিন্তু জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে তিনি যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলাপ-আলোচনার সুযোগ রয়েছে। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত না হয়ে সরাসরি যোগ দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ সভার গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের বৃহৎ ফোরামে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি— বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ সফর কেন্দ্র করে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করেছে।
অপরাজনীতির কারণে বিএনপি জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন ঘরোয়া সিরিজ বৈঠক করছে, এই বৈঠক হচ্ছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করা।
ক্ষমতায় থাকাকালে নিষ্ঠুরতা আর রাজনৈতিক নিপীড়নের যে নজির স্থাপন করেছে বিএনপি, সে রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গায়েবি মামলায় বিশ্বাসী নয়। কেউ অপরাধ করলে তাকে অপরাধী হিসেবেই দেখে।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশের চলমান স্থিতিশীলতা বিনষ্টের যতই চেষ্টা করুক, কখনই সফল হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ জেগে ওঠার আগেই হঠকারী রাজনীতির জন্য বিএনপির কর্মীসমর্থকরা সুযোগসন্ধানী ও মতলববাজ বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। জনগণকে ধোঁকা দেওয়া অনেক আগেই স্পষ্ট হয়েছে, আর এখন স্পষ্ট হতে চলছে নিজ দলের কর্মী-সমর্থকদের ধোঁকা দেওয়ার চাতুর্য।