বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এদিন আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আমাদের মহান নেতা ও ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক’ শহীদ জিয়া তার নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর আজকে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

রোববার (৭ নভেম্বর) সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদেরকে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দলের সিনিয়র ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় জিয়া পরিবার ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, যেভাবে আমরা একাত্তরের একটি চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেভাবেই ৭ নভেম্বর আমাদের সিপাহী জনতা সংহতি প্রকাশ করেছিল। এরপরই দেশে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল।

দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে নির্মমভাবে ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আজ দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই ও গণতন্ত্র নেই। দেশে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, আমিনুল হক প্রমুখ।