কামরুন্নাহারের ফৌজদারি ক্ষমতা কেড়ে নিলেন আপিল বিভাগ

ধর্ষণ মামলায় স্থগিতাদেশ থাকার পরও এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সিজ (seize) করেছেন আপিল বিভাগ।

ওই বিচারক সুপ্রিম কোর্টে হাজিরের পর সোমবার (২২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে বর্তমানে সংযুক্ত এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগে সশরীরে উপস্থিত হন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ অদ্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১ নম্বর ক্রমিকের মামলায় শুনানি শেষে তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সিজ (seize) করা হয়েছে- মর্মে আদেশ দেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পরবর্তীতে প্রকাশ হবে।

আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে ছিল রাষ্ট্র বনাম আসলাম সিকদারের মামলা। ওই ধর্ষণ মামলায় স্থগিতাদেশ থাকার পরও এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় এ বিচারককে গত বছরের ১২ মার্চ তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে তাকে ২ এপ্রিল হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

কিন্তু করোনার পরে এ মামলাটি আর কার্যতালিকায় আসেনি। পরে মামলাটি ১৫ নভেম্বর কার্যতালিকায় উঠে। ওইদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছেন। তবে কী আদেশ দিয়েছেন, তা জানা যায়নি। এরপর মামলটি ফের সোমবার (২২ নভেম্বর) কার্যতালিকায় ওঠে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিচারক কামরুন্নাহার আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচারকক্ষে হাজির হন। পরে ওই বিচারকক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন অফিসার, আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের বেরিয়ে যেতে বলা হয়। এরপর ভার্চ্যুয়ালি শুনানি শুরু হয় বলে জানা গেছে।

প্রায় পৌনে ১১টা পর্যন্ত আর কেউই ওই কক্ষে ঢুকতে পারেননি। পরে বেঞ্চ অফিসারদের কক্ষে প্রবেশ করানো হয় এবং ২ নম্বর আইটেমের আইনজীবীদের ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় ওই কক্ষে প্রবেশ করে বিচারক কামরুন্নাহারকে দেখা যায়নি। এর মধ্যে কোনো এক সময়ে তিনি অন্য দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান।

বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭- এর বিচারক ছিলেন।