করোনার তৃতীয় ধাপের বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে দুই নারী ক্রিকেটারের শরীরে শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আর কারও শরীরে ছড়ায়নি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনার তৃতীয় ধাপ যেন না আসে, সে দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট, শিশু কর্নারসহ উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী দু’টি অক্সিজেন প্লান্ট উপহার দিয়েছে, তার মধ্যে একটি ঢামেক হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে। যা প্রতি মিনিটে ১ হাজার লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে।

প্লান্টটি উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তৃতীয় ওয়েভ আর চাই না, সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে, দ্বিতীয়টাই যেন শেষ হয়। যে দুজন খেলোয়াড় ওমিক্রনে আক্রান্ত, তারা আইসোলেশনে আছেন, ভালো আছেন। নতুন কারও আক্রান্তের খবর নাই।

এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা টিকা না নিয়ে থাকলে নিয়ে নেবেন। টিকার কোনও অভাব নাই, এখনও হাতে ৪ কোটি ডোজ টিকা আছে।

উদ্বোধন হওয়া অক্সিজেন প্লান্টটিকে সযত্নে চালানোর নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের যে অক্সিজেন জেনারেটর উদ্বোধন করবো, এটা যেন দীর্ঘদিন চলে— তা খেয়াল রাখতে হবে, যত্নে রাখতে হবে।’

এর আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, যদি দেশে করোনার তৃতীয় ধাপ আসে, এই অক্সিজেন প্লান্ট করোনা রোগীর চিকিৎসায় সহায়ক হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার ব্রিক্রম কে দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী শুধু বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ না, ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের বন্ধুত্ব পুরোনো ও অটুট। তারই অংশ হিসেবে করোনা মহামারী নতুন প্রকোপ ঠেকানোর অংশ হিসেবে ভারত অক্সিজেন প্লান্ট বসাতে সহায়তা করছে। ১ হাজার লিটারের অক্সিজেন জেনারেটর উপহার দিয়েছে ভারত।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. টিটো মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, শিশু বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হানিফ (টাবলু), এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, নার্স, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশরাফুল আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা।