দেশের উন্নয়নকে অস্বীকার করা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র: ওবায়দুল কাদের

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি দিলে ভবিষ্যত বিনির্মাণ গতিশীল হয়। একে অস্বীকার করাও এক ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সামিল।

রোববার ( ১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মাইলফলক স্পর্শকারী বাংলাদেশের অসংখ্য প্রাপ্তি বিএনপি নেতাদের চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে জাতিদ্রোহী-দেশদ্রোহীদের যেমন গাত্রদাহ হয় ঠিক তেমনি দলটির নেতাদেরও সহ্য হয় না। রাজনৈতিক হীনমন্যতার কারণে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত সাফল্যে বিচলিত হয়ে পড়ে দলটি নিজেদের পরাজিত মনে করে। এমনকি সত্যকে স্বীকার করার সাহস পর্যন্ত রাখে না।

তিনি বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি দিলে ভবিষ্যত বিনির্মাণ গতিশীল হয়; উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে অস্বীকার করাও এক ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সামিল। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিএনপি এতোই অন্ধ যে, কোনো উন্নয়ন ও প্রগতি তাদের চোখে পড়ে না।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে কোনো প্রাপ্তি খুঁজে পায়নি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার জিয়া-মোশতাকের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করার গভীর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির উত্তরাধিকার এবং একাত্তরের ঘাতক-যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ও তাদের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের এই হতাশা ও মর্মবেদনাই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ বিকাশের প্রধান অন্তরায়।

তিনি বলেন, বিএনপি নামক যে দলটি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপরাজনীতিতে লিপ্ত, যারা ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে তাদের কাছ থেকে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে কোনো প্রাপ্তি খুঁজে পাইনি,’ এ ধরনের মন্তব্যই স্বাভাবিক।

গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি আছেন ওবায়দুল কাদের। বুকে ব্যথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখন তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন, তবে আরও কতদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে সেটি নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত হবে।