আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে: আব্দুর রহমান

আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার দাঁত ভাঙা জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, এ দেশে নির্বাচন করতে হলে নাকি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করেই নাকি নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে। আমি বলতে চাই- তোমাদের এই দিবাস্বপ্ন কোনো দিন সফল হবে না। সংবিধান সম্মত ভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এবং ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা আবারও নির্বাচিত হবেন।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডেমরার ডগাইর রুস্তম আলী স্কুল মাঠে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬৬নং ওয়ার্ডের আওতাধীন ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্নের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূইয়া রতন ও শরফুদ্দীন আহমেদ সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহি, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ প্রমুখ।

সম্মেলনে উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফী এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন- মির্জা ফখরুল সাহেব, মামা বাড়ির আবদার করলে চলবে না। সংবিধানসম্মত ভাবেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। কিন্তু সংবিধানের বাহিরে গিয়ে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চান, আওয়ামী লীগ তার দাঁত ভাঙা জবাব দেবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বাংলার প্রতিটি অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামকে আলোকৃত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পদ্মা, মেঘনা, যমুনার কূলে  কূলে লক্ষ্য কোটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন। বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছেন। গৃহহীন মানুষকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা কখনো বাংলার মানুষের সাথে প্রতারনা করেনি। মুক্তির পথের সন্ধান দিয়েছেন। অথচ আজকের এই উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির পথকে রুদ্ধ করে দেবার জন্য ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও ৭৫ এর ঘাতকরা ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে টানা তিনবার ম্যান্ডেট দিয়েছেন। ৯৬ সালে ম্যান্ডেট দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের সাথে প্রতারণা করেনি। রাজাকার, আলবদল,আলশামস, যুদ্ধপরাধীদের বিচার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসীতে ঝুলিয়ে দিয়ে প্রমান করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা খুনিদের বিচার করতে জানে।