বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এর মধ্যে রয়েছে শনিবার সকাল ৯টায় সব ইউনিট কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ছাত্রসমাবেশ।
রোববার ছাত্রদলের প্রতিটি জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটে ছাত্রসমাবেশ করবেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি- এ তিন মূলনীতিকে ধারণ করে ছাত্রদল গঠন করেন।
আশির দশকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন কিংবা এর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামেও সামনের সারিতে দেখা গেছে সংগঠনটিকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে সংগঠনটির সে ধরনের ভূমিকা দৃশ্যমান নয়।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে ফজলুর রহমান খোকন সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দুবছরের মেয়াদ শেষ হলেও কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। এখন মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটিরও দাবি করছেন সংগঠনটির অনেকে।
নেতাকর্মীরা জানান, সফলতা আর ব্যর্থতার মধ্যেই সংগঠনের বর্তমান নেতৃত্ব মেয়াদ শেষ করেছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সারাদেশে থানা পর্যায়ের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। এখন ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠনের কার্যক্রম চলছে।
এজন্য কেন্দ্রীয় একজন নেতাকে জেলাভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব সফলতার মধ্যে ব্যর্থতার পাল্লাও রয়েছে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে।
কমিটির অনেকের বিরুদ্ধেই কমিটি বাণিজ্য, পকেট কমিটি গঠনসহ অনৈতিকতার বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক লেনদেনে অনেকে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের।
এছাড়া মেয়াদ শেষ হলেও কেন্দ্রীয় কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি খোকন-শ্যামল কমিটি। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে।
নেতাকর্মীরা জানান, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে অনেক পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী তাদের রাজনৈতিক পরিচয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য তারা বিগত দিনে অনশন, লিখিত আবেদনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে ধর্ণা ধরেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।