বিদেশে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশের আওয়ামী লীগ নেতাদের সোচ্চার হবার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগে’র সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সভাপতি এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আর দু’বছরের কম সময় বাকি। এই নির্বাচনে আমাদের প্রচারণার একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এবং আপনারা দেখছেন, আমাদের বিরুদ্ধাচারীরা, দেশের বিরুদ্ধাচারীরা দেশের বিরুদ্ধে যত ধরণের ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার চালাচ্ছে, তার একটি বড় প্লাটফর্ম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়েছে। তারা বিদেশে বসে অপপ্রচার চালায়, বিভ্রান্তি ছড়ায়, গুজব রটায়।
‘তারা যেসমস্ত দেশে বসে এগুলো করে, সেসব দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আছেন, কমিটিও আছে কিন্তু অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন, অনেকক্ষেত্রে তা পাওয়া যাচ্ছে না’ উল্লেখ করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, নানাভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালালে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই ব্যবস্থা নেয়া যায়, যে দেশে বসে অন্য দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই দেশের আইন অনুযায়ীও ব্যবস্থা নেয়া যায়। কিন্তু এটি সবক্ষেত্রে হচ্ছে না।’
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কে বা কোন কমিটি কোথায় বিরাট করে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস পালন করলো বা কোনো মন্ত্রী গেলে সম্বর্ধনা দিলো, সেটিই সবকথা নয়, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস অবশ্যই পালিত হবে, পাশাপাশি এবিষয়টিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকসহ আমরা দলের পক্ষ থেকে এখন দেখবো, যে দেশে বসে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সেই দেশে আওয়ামী লীগ নেতারা কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সেটির ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে। সুতরাং এ কাজটি করার জন্য অনুরোধ জানাই।’
ড. হাছান বলেন, বিএনপি-জামাত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য বিদেশের অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেসব দেশের আইনপ্রণেতাদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সেসব দেশে আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষয়েও সতর্ক করতে হবে।