রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসভবন ফিরোজায় নিয়ে আসা হয় তাকে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হয় খালেদা জিয়াকে বহনকারী সাদা রঙের জিপ গাড়ি। গাড়ির পেছনে অবস্থান নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা তার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো সময় নেতাকর্মীরা গাড়ির পেছনে পেছনে ছিলেন।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি বাসভবনের সামনে পৌঁছালে উপস্থিত নেতাকর্মীরা গাড়ি ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। গাড়ির পেছনে পেছনে আসা নেতাকর্মীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ কারণে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ কিছুটা বিলম্বিত হয়।
পরে বাসার ভেতরে প্রবশ করলে বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার এবং খালেদা জিয়ার ভাই প্রয়াত সাইদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর দীর্ঘ চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ১০ জানুয়ারি তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। কিন্তু এভারকেয়ার হাসপাতালে ৩৮০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। খালেদা জিয়াও যদি কোনো মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত হন, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া নিরাপদ বোধ করছি।