ইসি গঠন করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চায় আওয়ামী লীগ: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আগেই বলেছি নির্বাচন কমিশন (ইসি) দিয়ে কোনো কাজ হবে না। যদি না নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার পরিবর্তন না হয়।

সেটা যদি নিরপেক্ষ সরকার না হয়। আজকে ইসি গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করে জনগণকে পুরোপুরি বোকা বানিয়ে আবারও সেই ২০১৪, ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করে তারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চায়। ’

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রচিত দি ইউনিভার্সেল একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘স্মৃতির অ্যালবাম’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যত বার ক্ষমতায় এসেছে অথবা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে তত বারই গণতন্ত্রের সব স্থাপনাগুলোকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার আমাদের সব অর্জনগুলো যেগুলো আমরা যুদ্ধ করে অর্জন করেছিলাম সেই স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার সবগুলো তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। ’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের পত্রিকা খুললে দেখবেন দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে। কেন অপসারণ করা হয়েছে? তিনি যে ব্যক্তিগুলোকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন, সেই মানুষগুলোই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তিনিই নাকি দুর্নীতিপরায়ণ। কোনো ধরনের সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই তাকে অপসারণ করা হয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পত্রিকায় এসেছে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন সেখানে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আজকে পত্রিকায় দেখলাম ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটারে খরচ দেখানো হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা। যা পৃথিবীর কোথাও নেই। এই যে কয়েকটি ছোট উদাহরণ দিলাম।

ড. মোশাররফ হোসেন কখনও আপোস করেননি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে এসেছিলেন। অত্যন্ত সততার সঙ্গে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তিনি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা যখন সংগ্রাম করছি তখন আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পুরোপুরি সহযোগিতা দিয়ে চলেছেন। তিনি সারা জীবন দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ’

ঢাবির সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।