একটি গোষ্ঠী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করার চেষ্টা করছে: বাহাউদ্দিন নাছিম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, একটি গোষ্ঠী আন্দোলনের নামে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নানা রকমের উস্কানি ও উদ্দেশ্য মুলকভাবে বক্তব্য দিচ্ছে এবং তারা এক ধরনের উৎশৃংখল আচরণ করছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করার চেষ্টা করছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার একটাই লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করা। তারা নানা প্রকারের কর্মসূচির নামে অপপ্রচার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। তারা এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে। তাদের এই সকল হুমকি-ধামকি দেশের মানুষ আর সমর্থন করে না।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) তে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন এর দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা ও স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের সব সময় দেশে ঢাক ঢোল পিটিয়ে দেশে আতঙ্ক তৈরি করে। তাদের মুখে সব সময় দেশ ধ্বংসের কথায় শোনা যায়। তারা বলেছিল করোনায় লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে এমন কিছুই হয়নি।তারা এমন কথা বলে,গুজব ছড়িয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের সময় সারা পৃথিবীতে খাদ্য দ্রব্যের দাম বেড়েছে। এটাতো আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে নেই। তারা বলে দেশে নাকি খাদ্য দ্রব্যের সংকট। আমাদের সব জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রয়েছে।এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় খাদ্য মজুদ করে দেশে সংকট তৈরি করছে।সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাত এদেশে মানুষকে বিভ্রান্ত করে অপরাজনীতি করে। এরা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। এরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উস্কে দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে। এরা দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। এরা গণতন্ত্রের কথা বলে অগণতান্ত্রিক ভাবে ফায়দা লুটে ক্ষমতায় যেতে চায়। এদের একটাই স্বপ্ন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা। এরা চায় বিনা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। এরা বিদেশে অর্থ দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এরা সবসময় বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানোর জন্য মিথ্যাচার করতে থাকে। এরা কখনো চায়না বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে, বাংলাদেশ উন্নয়ন সমৃদ্ধশালী একটি রাষ্ট্রে পরিণত হোক।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের মানুষের ইচ্ছের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সারা বিশ্বে থেকে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরস্কৃত হচ্ছেন। যিনি দেশের মানুষের ভ্যাগের পরিবর্তনের জন্য দেশকে ধাপে ধাপে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছেন যা বিশ্বের মানুষের কাছে এক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।বাংলাদেশ আজ বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। যার সব কিছু সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনে।তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আজ একটি বিশাল সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে আসার কারণেই বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সৃষ্টি হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ বাংলাদেশের প্রথম কোন সহযোগী সংগঠন যা প্রধানমন্ত্রীর নিজেই সৃষ্টি করেছেন। এজন্য বাংলাদেশে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতা কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আ. লীগের একমাত্র লক্ষ। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। তাদের কোন ষড়যন্ত্র নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না। আর আমরা যদি নীতি আদর্শ ঠিক রাখতে রাখি তাহলে তাদের সকল ষড়যন্ত্র আমরা রুখতে পারব এবং তাদের সকল অপরাজনীতি প্রতিহত করতে পারবো। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

মকবুল হোসেনের কথা স্মরণ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। দলের জন্য তার অবদান ছিল অনেক। দুর্দিনে তিনি দলের হাল ধরেছিলেন। আজকের দিনে আমরা তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং তার তার বিদ্রোহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আলোচক হিসেবে ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান মতি।