মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি নিয়ে বিএনপি প্লাটফর্ম তৈরি করছে: ওবায়দুল কাদের

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও দলছুট নেতাদের নিয়ে বিএনপি তথাকথিত বহুদলীয় প্লাটফর্ম তৈরি করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘চিরাচরিত মিথ্যাচার ও দূরভিসন্ধিমূলক’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, পলাতক আসামি তারেক জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন যে প্লাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে তা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে মুক্ত করার নামে তথাকথিত আন্দোলনের এই প্লাটফর্ম মূলত দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার প্লাটফর্ম।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে ভূ-লুণ্ঠিত করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশে তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন বলে বিএনপি নেতারা মন্তব্য করে থাকেন। মূলত জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতি করার লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি প্যাড সর্বস্ব রাজনৈতিক দল ও দলছুট রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র চালু করে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছিল।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়া কাউকে আটক করে রাখেনি এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর বলেই গ্রেনেডের বিপরীতে গ্রেনেড ব্যবহার করেননি। এমনকি মানবিক নেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে তার নিজের বাসায় রেখে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি সরাসরি আইন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড খালেদা জিয়ার কুপুত্র দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন যে প্লাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে, তা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ।