ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় গ্রামের মানুষ সকালে উঠেই চা খায়: বাণিজ্যমন্ত্রী

ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় গ্রামের মানুষ এখন সকালে উঠেই দোকানে গিয়ে চা খায় উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মানুষের আয় বেড়েছে, তাই আগে যে এক কাপ চা খেতো, এখন সে দুই কাপ চা খায়। এখন দেশে দিনে ১০ কোটি কাপ চা খাওয়া হয়।

শনিবার (৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে ‘চা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ চা বোর্ড এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ওমর হান্নান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চায়ের উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে আমরা চিন্তা করি। জাতির পিতার স্পর্শ পেয়েছে এই চা শিল্প। তার অবদানের কারণে এ শিল্প অনেক এগিয়েছে। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানে ইতিহাস হয়েছে, সাফল্য এসেছে। প্রতি বছর ৪/৫ শতাংশ চা উৎপাদন বাড়ছে। তবে মানুষের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম, এজন্য রপ্তানি করতে পারছি না। গ্রামের মানুষেরা এখন সকালে উঠেই দোকানে চা খান। এতে বোঝা যায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।

তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর নিজের ভাবনা থেকে চায়ের চাষ শুরু হয়। আজ অভ্যন্তরীণ চাহিদার ১৫ শতাংশ আসছে। চা পাতার কারণে আজ উত্তর এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। টিসিবির লাইনে এখন উত্তর এলাকায় মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। চা বাগানে কাজ করার কারণে তাদের আয় আরও অনেক বেড়ে গেছে।

ক্ষুদ্র চা বাগানগুলোকে সাপোর্ট দিতে হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে আমাদের সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে। এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি শ্রমিক আছে তাদের সন্তানদের ট্রেনিং করে দেশের বাইরে পাঠানোর বিষয়টি দেখতে হবে। আমাদের কিছু চা পাতা আছে, সবচেয়ে ভালো যেগুলো সেগুলো ইংল্যান্ডের বাজারে পাওয়া যায়। মানুষের আয় বেড়েছে, ফলে আগে যে এক কাপ চা খেতেন এখন সে দুই কাপ চা খাবেন। এখন দেশে দিনে ১০ কোটি কাপ চা খাওয়া হয়।

চা বাগান মালিকদের উদ্দেশে টিপু মুনশি বলেন, চা বাগানে ভালো মানের রিসোর্ট তৈরি হচ্ছে। এগুলো ব্যবসার জন্য ভালো। ক্রেতাকে রিসোর্টে রেখে এক বেলা খাওয়ালে, কারখানাগুলোর পরিবেশ দেখালে লোকসান নেই। এতে ক্রেতারা খুশি হয়, ব্র্যান্ডিং হয় নিজ পণ্যের। এখন ভালো মানের রিসোর্ট হচ্ছে।