সীতাকুণ্ডের ডিপোতে বিস্ফোরণে ঘটনা দুঃখজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তারা মূলত বাইরে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরণ দেখছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে ভেতরে আটকে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। এছাড়া এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে তিনি এ মন্তব্য করেন। নিউরোসার্জারির বিশ্বায়ন ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এ কনফারেন্সের আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জন।

জাহিদ মালেক বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, শনিবার (৪ জুন) একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়েছি যে সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। চট্টগ্রাম হাসপাতাল, সিএমএইচ, প্রাইভেট হাসপাতালে সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ জনের ওপরে ভর্তি হয়েছে। আমাদের বারডেমের বার্ন ইউনিট প্রস্তুত আছে এবং এখানেও কয়েকজন ভর্তি হয়েছে। আমরা যে খবর পেয়েছি তাতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ জন মারা গেছেন এবং এরা সবাই বাইরের। অর্থাৎ সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতে ছিল। অনেক সময় দাঁড়িয়ে দেখে কীভাবে কী হচ্ছে, ছবি তোলার চেষ্টা করে, সেখান থেকেই যখন বিস্ফোরণ হয়, তখন এ বাইরের লোকগুলো মারা গেছেন। ভেতরের লোক বেরুতে পারেনি। সেটা এখনও জানা যায়নি কত লোক আটকে ছিল। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা, আমরা এ ধরনের ঘটনা আশা করি না।

করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে এ সময় তিনি বলেন, আমরা এক কোটি বুস্টার ডোজ দিতে চাই আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত। প্রয়োজনে আরও বেশি দেওয়া হবে। বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে এবং আমরা এটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, সাধারণ সম্পাদক এমএ আজিজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।