পদ্মা সেতু চালু হলেও শিমুলিয়াঘাট থাকবে, পর্যটন ও ইকোজোন করা পরিকল্পনাও আছে। শনিবার (১১ জুন) সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে দু’পাড়েই উৎসবের আয়োজন হবে। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উৎসব হবে এই উদ্বোধন।
এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীকে ঘিরে যাদের জীবন ও জীবিকা তারা সবাই এ উদ্বোধনী উৎসবে সমবেত হবেন। উদ্বোধনের ঘোষণার মধ্যেই সারাদেশে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে জমকালো একটি উৎসব হতে যাচ্ছে এটি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ এর সাথে যুক্ত থাকবে।
সেতু চালু হলেও শিমুলিয়াঘাট থাকবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীকে ঘিরেই আমাদের জীবন-জীবিকা। নদীর সাথে আমাদের যে সম্পর্ক সেটা বন্ধ করা যাবে না। শিমুলিয়াঘাট থাকবে, এই ফেরি সার্ভিসের চাহিদা আছে, ফেরি সার্ভিস চলাচলও অব্যাহত থাকবে।
ফেরি চলাচলের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দূরপাল্লার যানবাহনগুলো এই রুটটি বেছে নেবে। কারণ ফেরিতে তাদের একটি বিশ্রাম হবে। এটা আমাদের ড্রাইভার, অ্যাসিসটেন্টদের জন্য খুবই জররি। যমুনা সেতুর পাড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি রেস্ট এরিয়া করেছেন বিশ্রামের জন্য। পদ্মায় এই ফেরি সার্ভিস তেমন কাজ করবে। বিশেষ করে পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য এর চাহিদা থাকবে।ৱ
এখানে পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নদীকে জীবন-জীবিকার সাথে যুক্ত করতে চাই। বিনোদনের সাথে যুক্ত করতে চাই। নৌপর্যটন ছিল না, এই পদ্মা সেতুকে ঘিরেই এখানে একটি পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি হয়ে গেছে। মনে করা হচ্ছে শিমুলিয়ায় মানুষ আসবে না, কিন্তু আমরা মনে করছি এর চাহিদা আরও বাড়বে। শিমুলিয়ায় পর্যটন কেন্দ্রিক ইকোজোন গড়ে তোলা হবে।