কর্তৃপক্ষকে পদ্মা সেতু বুঝিয়ে দিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সারা দেশে বইছে উচ্ছ্বাস। আর মাত্র দুই দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এরই মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)।

বুধবার (২২ জুন) কাজ শেষে কর্তৃপক্ষকে সেতু বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষকে বুধবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে অবকাঠামোর ছোটখাটো কাজ আগামী এক বছর ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করবে।

তবে কখন, কোথায় পদ্মা সেতুর কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বরাবর সেতু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি আর কিছু বলা যাবে না।

এদিকে সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। বুধবার দিনব্যাপী এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়ামোড়া, নিমতলা, চালতিপাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মোটরসাইকেল ও গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করতে দেখা গেছে।

মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাইবার ওয়ার্ল্ড মনিটরিংসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা পরিকল্পনা। কোথাও কোনো ধরনের নেতিবাচক তথ্য পাওয়া গেলে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থলে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তাসহ জোরদার করা হবে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে এ সম্পর্কিত ব্যাপক পরিকল্পনা।

এ উপলক্ষে পদ্মাপাড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। উদ্বোধন ও সমাবেশ হবে মাওয়ায়। তাই প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন অনুষ্ঠানস্থল ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চলছে সাজসজ্জা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু ২৫ জুন সকালে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন ভোরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত এই সেতু।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেতুতে ১৩ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে নসিমন, করিমন, ভটভটি ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। এমনকি হেঁটেও মানুষ যাতায়াত করতে পারবে না।