‘বাঙালী জাতীয়তাবাদের অগ্রদূত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ‘

ছয় দফা আন্দোলন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়: বঙ্গবন্ধুর অবদান শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই ছিলেন বাঙালী জাতীয়তাবাদের অগ্রদূত, আমাদের জাতির পিতা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) তিতুমীর কলেজ অডিটোরিয়ামে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালমা মুক্তার সঞ্চালনায় এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এএসএম আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শিপ্রা রানী মন্ডল।

সেমিনারে সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মালেকা বিলকিস বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মূল প্রেরণার উৎস ছিলো বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ। বাঙালী জনগোষ্ঠীর উপর পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণ যত তীব্র হয়েছে ততই শাণিত হয়েছে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জাতীয়তাবাদের চেতনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই ছিলেন বাঙালী জাতীয়তাবাদের অগ্রদূত, আমাদের জাতির পিতা।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মালেকা বিলকিস বলেন, ১৯৪৭ সালের দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির জন্মলগ্ন থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান ভিত্তিক রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের নেতাদের দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা এবং স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণ পূর্ব বাংলার জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিলো। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে অভ্যুদয় একদিনে হয়নি। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, স্বাধীন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার তার বক্তব্যে বলেন, ছয় দফার মাধ্যমে বাঙালির অধিকার তরান্বিত হয়। যার ফলস্বরুপ সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে। সামনে আমরা একটি সোনার বাংলাদেশ পাবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এএসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ছয় দফা ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় একে অপরের পরিপূরক। এখন যারাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সবারই স্বাধীনতার অভ্যুদয় পড়া উচিত। তাহলে দেশকে এগিয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে তরুণ প্রজন্ম।