পদ্মা সেতুর জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গতকাল একটি সংবাদের ওপর আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। অবৈধ সরকারের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরে নাকি আমাকে দেখা যায়নি। আমি ওনাকে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই— মানুষ যখন পানিতে ভাসছে, খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে, মানুষের সহায়-সম্বল যখন ভেসে যাচ্ছে তখন পদ্মা সেতুর জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ মনে করেছে, এটা গোটা জাতির সামনে একটা তামাশা।
তিনি বলেন, আমি তথ্যমন্ত্রীকে একটা কথা বলতে চাই— গোটা জাতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের সাথে রসিকতা করে আপনারা পদ্মা সেতুর তথাকথিত জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন করলেন। সেই অনুষ্ঠানেও কিন্তু আপনাদের অনেক ঘনিষ্ঠ লোককে দেখা যায়নি। সেখানে আপনাদের তথাকথিত গৃহপালিত বিরোধীদলের কোনো নেতাকর্মীকেও আমরা দেখিনি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার মেয়ের জামাইকেও দেখলাম না। তার (প্রধানমন্ত্রীর) ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কেও দেখলাম না। সবচেয়ে বড় কথা সবসময় যিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকেন তার বোন শেখ রেহানাকেও কেন দেখলাম না। বাংলাদেশের কোনো বিশিষ্টজনকে আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা যে সেতু থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে টুস করে ফেলে দেবেন। অথবা দেশের একজন গুণী মানুষকে চুবানি দেবেন। সেই সেতুর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান দেশের মানুষ ভালোভাবে দেখেনি। যে সেতুর সাথে ভয়ংকর দুর্নীতি জড়িত, যেখানে এক টাকা খরচ হওয়ার কথা সেখানে সাড়ে তিন টাকা খরচ হয়েছে। সেই আড়াই টাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পকেটে গেছে। তারা কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ি বানিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, তার কাছে প্রশ্ন তাদের দলের বহু লোক সেদিন কেন উপস্থিত হননি? আমরা শুনেছি, সারাদেশ থেকে লঞ্চ, স্টিমার, বাসে করে লাখ লাখ লোক নাকি সেখানে উপস্থিত হবে। কিন্তু কেউ কেউ বলেছেন, ৫ হাজার, দশ হাজার, ২০ হাজারের বেশি লোক হয়নি। কেন লোক হলো না, এটা তথ্যমন্ত্রী একটু বিশ্লেষণ করে দেখবেন।