প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গঙ্গার পর কুশিয়ারার পানিবণ্টন বড় সফলতা। এক যুগ পর যৌথ নদী কমিশনের বৈঠককে শুভ সূচনা বলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পাশাপাশি বাংলাদেশের যেকোনো প্রয়োজনে ভারত পাশে থাকবে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবারও অঙ্গীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।
প্রায় তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে কুশিয়ারার পানিবন্টনসহ সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে জ্বালানি ও খাদ্যসহ যেকোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার করেছে প্রতিবেশী দেশটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, নরেন্দ্র মোদির দুই মেয়াদে যতবার দিল্লি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মধ্যে সবথেকে সফল এবারের মিশন। বাংলাদেশ কিছুই পায়নি, বিএনপি’র এমন অবস্থানের সমালোচনা করছেন প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যাবে এমন কোনো কিছুই করেননি। নরেন্দ্র মেদি বলেছেন, বাংলাদেশের যা প্রয়োজন আমরা করব। ভারত একা এগোতে পারবে না। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতকে আগাতে হবে।
১২ বছর পর যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক এবং কুশিয়ারার পানিবন্টন নিয়ে সমঝোতা সই বড় ঘটনা হিসেবে দেখছে সরকার। আরও অন্তত ৬ নদীর পানিবন্টন নিয়ে আলোচনার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই সফরে আমাদের অনেক সফলতা আছে। সবচেয়ে বড় সফলতা হলো, ২৫ বছর পর আমাদের পানি চুক্তি হয়েছে। জয়েন্ট রিভার কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে এটা হয়েছে।
জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় ভারত থেকে তেল আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত হলেও কারিগরি দিক খতিয়ে দেখছে দু’দেশ। পাশাপাশি ভারতের মধ্য দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহণের যে প্রস্তাব, সেটিও ইতিবাচকভাবে দেখছে ঢাকা।
এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দুই দেশ একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে বলে জানান নীতিনির্ধারকরা।