রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফিরতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সমস্যা সমাধানে চীনও কাজ করছে। তবে তাদের আরও বড় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চীনের ৭৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘কালারফুল ইউনান’ নামে এ ইভেন্টে ইউনান প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও লাইফস্টাইল পণ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে গেছে। এটা আমরা কেন বয়ে বেড়াবো? রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এর জন্য চীনকে আরও বড় ভূমিকা রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুরু জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শনই ছিল দেশের মানুষের উন্নয়ন ও ভাগ্যবদল। এই জন্য তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্প চীনের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে কর্ণফুলীর দুই তীরে বাড়বে কর্মব্যস্ততা। বিশেষ করে কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী, মহেশখালী, কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বহুগুণে বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে (বাংলাদেশের) সম্পর্ক নানাভাবে। নানাদিক থেকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত হচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম সঙ্গী চীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ২৭টি বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি আদান-প্রদান ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে একে অপরে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান, জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।