আমাদের ৪৩ বছরের সকলের আমলনামা নেত্রীর কাছে আছে: মির্জা আজম

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, নরসিংদীর সম্মেলনে হুংকার দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না দেয় তাহলে কেউ ঢাকায় ফিরতে পারবেন না! সেই সম্মেলনে নাম ঘোষণা করতে দশ মিনিটও লাগেনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সভাপতি, তার থেকে যে ওহি নাজিল হয় তা আপনাদের কাছে আমরা পৌঁছে দেই। এখানে আমাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই।

শনিবার (১ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে এ বর্ধিত সভার আয়োজিন করা হয়।

সভায় অংশ নিয়ে জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেন, আমাদের তেতাল্লিশ বছরের সকলের আমলনামা নেত্রীর কাছে আছে। দ্বিতীয় অধিবেশনের সিদ্ধান্ত যা আসবে সকলকে মেনে নিতে হবে। এখানে আপনাদের টেনশনের কোনো বিষয় নেই। শেখ হাসিনা যা চাইবেন তাই হবে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেছেন, পঞ্চাশ জনের মতো জঙ্গি যারা বাড়ি থেকে পলাতক, তাদের (পুলিশ) কাছে খবর আছে যে, সহিংস ঘটনা ঘটানো হতে পারে। তাদের টার্গেট আওয়ামী লীগকেও আঘাত করা। এ কারনে উন্মুক্ত স্থানের মধ্যে কোনটা সবচেয়ে নিরাপদ তা আলোচনা করে সেটা আপনারা নির্ধারণ করবেন।

মির্জা আজম আরও বলেন, আজকের সভায় স্থান নির্ধারণ করে দুই-একদিনের মধ্যেই আরেকটি কার্যকরী কমিটির সভা দেবেন। আপনারা সকলের বক্তব্য শুনেছেন। সকলকে দেখভাল করার দায়িত্ব জেলা আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। নিরাপত্তা সাজসজ্জার জন্য অনেকগুলো কমিটি করতে হবে। যাদের দায়িত্ব দেবেন তারা যেন দায়িত্ব পালন করেন। নয়তো সম্মেলন সঠিকভাবে হবে না।

তিনি বলেন, একটা সম্মেলনে অনেক বড় টার্গেট থাকে। এখানে পঞ্চাশ হাজার লোকের সমাবেশ ঘটবে বলে আমার ধারণা। তাই এর জন্য অনেক কাজ করতে হবে। এর জন্য বাজেটও লাগবে। সেখানে সবার অংশগ্রহণ যেন থাকে। এ সম্মেলনের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। এগুলো মাথায় রাখবেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন।