২০১৬ সালে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার গৃহিণী জামিলা বেগম হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: মেঘনা উপজেলার শিকিরগাঁও এলাকার সুমন ও রাকিব এবং মানিকারচর এলাকার তাছির। এদের মধ্যে তাছির পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ২০ জুন সন্ধ্যায় মেঘনা উপজেলার মানিকারচর এলাকার গৃহিণী জামিলা বেগম নিখোঁজ হন। এর ৪ দিন পর বাড়ি সংলগ্ন একটি ফসলি জমি থেকে জামিলার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৫ জুন জামিলার স্বামী ভ্যানচালক আবদুল হাকিম বাদী হয়ে মেঘনা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তপূর্বক ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ৩ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার সকালে জনাকীর্ণ আদালতে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং টিটু নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিব ও সুমন এবং খালাসপ্রাপ্ত টিটু এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, জামিলা বেগমের কানের দুল ও টাকা ছিনতাইয়ের জন্য তাকে হত্যা করা হয়। রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।