বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হতে পারে আরো চার সচিবকে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে। চারজন সচিব ও আটজন অতিরিক্ত সচিবও আছেন এই ষড়যন্ত্রে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১২। একটি গোয়েন্দা সংস্থা এই ১২ জনের দৈনন্দিন চলাফেরা, মোবাইল ফোনে যোগাযোগসহ দেশে-বিদেশে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছে। পাঁচজন সচিবের সরকারবিরোধী সন্দেহজনক কার্যক্রম পাওয়া গিয়েছিলো। এর মধ্যে গত রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনকে অবসরের প্রায় এক বছর আগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বর্তমান সচিব ও অতিরিক্ত সচিবদের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন সচিবও এ কাজে যুক্ত হয়েছেন। এদের কারো কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে, সে বিষয়ে শীর্ষমহলে আলোচনা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পদোন্নতিবঞ্চিত কয়েক জন কর্মকর্তা সরকারবিরোধী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছেন এমন কিছু তথ্য নিয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। পরে একাধিক কর্মকর্তার এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে আসে। এরপর তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম মনিটরিং শুরু করি। তাতেই মেলে ষড়যন্ত্রের তথ্য। পুরো বিষয়টি সরকারের শীর্ষমহলে জানানো হয়।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মকবুল হোসেন গত মার্চ লন্ডন সফরে সরকারবিরোধী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে বৈঠক করেন। তিনি পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের উলটো দিকে একটি অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন। সেই অফিস পরিচালনা করেন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা। সূত্রগুলো বলছে, অভিযুক্ত এসব কর্মকর্তা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ফেলেছিলেন। তাদের কেউ কেউ লন্ডনে যোগাযোগ রেখেছেন এমন তথ্যও অনুসন্ধানে মিলেছে। ফলে গুরুতর অপরাধে জড়িত পাঁচ সচিবকে আগাম অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি সচিব ও অতিরিক্ত সচিব মিলিয়ে যে ১২ জনের তালিকা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে। সবাইকে অবসরে পাঠানো না হলেও কঠোর মনিটরিংয়ে রাখা হবে।
সরকারের শীর্ষমহল থেকে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অনুমোদন মিলেছে। ফলে অবসরে পাঠানো কারো কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।