ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পদ্মাপাড়ে প্রস্তুত ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলজুড়ে রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সাগর উপকূলসহ নদী বিধৌত বাসিন্দাদের। সারাদেশের ন্যায় শরীয়তপুর জেলার পদ্মা বিধৌত জাজিরায়ও ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাব দেখা দিয়েছে।

এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পদ্মানদীসহ আশপাশের শাখা নদীগুলোতে, বিশেষ করে কীর্তিনাশা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে স্থানীয় জনসাধারণের পাশাপাশি বিপাকে পড়তে পারে গৃহ পালিত গবাদি পশুগুলো। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে শরীয়তপুর জেলার পদ্মা নদী বিধৌত জাজিরাতে ৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন জরুরি সাড়া দানের জন্য জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। একইসঙ্গে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুত, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় এবং দুর্যোগকালীন যেকোনো জরুরি সাড়া দানের জন্য ২৪ ঘণ্টাই আমরা আমাদের জেলা-উপজেলা-পৌরসভায় থাকা দলীয় প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালনে মাঠে রেখেছি এছাড়া আমরা ভালমন্দ মনিটরিং করছি। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জেলা- উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় আমরা দুর্যোগে কবলিতদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসায় চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত শুকনো খাবার দেওয়ার পাশাপাশি সার্বিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করছেন দুর্যোগে কবলিতদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসায় ক্ষেত্রে।