সরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী

সুগার মিলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, সুগার মিলের অনেক পতিত জমি রয়েছে। সেগুলোকে চাষের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জমি কোথায় কোথায় পতিত রয়েছে, তা খুঁজে বের করে চাষের আওতায় আনতে হবে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই, যেকোনো মূল্যে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যেটুকু সুযোগ আছে, তার সবটুকু আমরা কাজে লাগাতে চাই। সেজন্য, মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের আরও তৎপর ও সক্রিয় হতে হবে। কীভাবে উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়-তা খুঁজে বের করতে হবে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী সুগার মিল এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট চার হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এবছর সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রয়েছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে, যার পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা।