বাজারে সয়াবিন তেল ও চিনির সংকট চলছে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটির মূল্যবৃদ্ধির নোংরা খেলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
তারা বলেছেন, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১২ টাকা বৃদ্ধি ও প্যাকেটজাত প্রতিকেজি চিনির দাম ১৩ টাকা বৃদ্ধি জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সয়াবিন তেল ও চিনির মূল্যবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত, তা অনৈতিক ও জনস্বার্থবিরোধী। অবস্থা দেখে মনে হয় দেশের ভোজ্যতেল ও চিনির বাজারে ব্যবসায়ীদের রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নেতারা বলেন, দেশে দফায় দফায় বাড়ছে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম, যা জনগণের ওপর নির্যাতন ছাড়া কিছুই না। বর্তমানে যে দাম আছে, সেটাই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অথচ ব্যবসায়ীরা দাম আরও বাড়ানোর জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দেশের ইতিহাসে সয়াবিন তেল ও চিনি এখন সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার মূল্যবৃদ্ধি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য চাপ তৈরি করবে।
তারা বলেন, অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ জনগণের চোখে পড়েনি। সরকারের দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত পেলেই উৎপাদন ও সরবরাহকারীরা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা ভোজ্যতেল ও চিনির বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমদানিকারকদের দুই পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি, অগ্রিম কর প্রত্যাহার এবং সরবরাহ ও খুচরা পর্যায়ে কমিশন যৌক্তিক করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো মূল্যবৃদ্ধির করতে না পারে সেদিকেও কঠোর নজরদারি করতে হবে।