ফুয়েল, ক্রুড অয়েল ও বিটুমিনসহ অন্যান্য জ্বালানি বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আলোচনায় ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে ব্যাপারে কথা হয়। এ ক্ষেত্রে দুটি উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা। একটি, ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করলে বেশি ভালো হবে কিনা। আরেকটি, যারা ক্রুড অয়েল আনবে, তারাই সেটা রিফাইন করবে কিনা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত, ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইনড অয়েল হয়। রিফাইনড অয়েলটা তারা বিপিসির কাছে দিবে কিনা অথবা তারা সরাসরি বাজারজাত করতে পারে কিনা সেটাও দেখতে হবে। তবে ক্রুড অয়েল ও বিটুমিনসহ অন্যান্য যে উপজাত পণ্য আসবে, এগুলো তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রপ্তানি করবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রিফাইনড অয়েলের বিষয়ে দুটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হয় তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিবে বা বিপিসি তাদের অন্য কোন ম্যাকানিজ কিংবা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দিবে। এক্ষেত্রে রিফাইনড অয়েল আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কিনা সেটা বিএসটিআইকে মনিটরিং করতে হবে। এ সব বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনায় রাখতে বলা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে যেতে বলা হয়েছে।