বিএনপি মানুষের চোখের আলো ছিনিয়ে নেয়, আ.লীগ ফিরিয়ে দেয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিনামূল্যে চক্ষুসেবার মাধ্যমে প্রায় ৮শ লোক নতুন করে চোখের আলো পাবেন। অপারেশন ছাড়া ইতোপূর্বে প্রায় চার হাজার চক্ষু রোগীকে বিভিন্ন চিকিৎসা এবং পাঁচ হাজার চশমা দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও মানিকগঞ্জবাসীর জন্য বিনামূল্যে চক্ষুসেবার ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন এবং চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিনামূল্যে মানুষের চোখের অপারেশন করে ও চোখের লেন্স পরায়। আর বিএনপির গ্রেনেড হামলায় বহু মানুষের চোখ উঠে গেছে, চোখ নষ্ঠ হয়ে গেছে। বিএনপি মানুষের চোখের আলো ছিনিয়ে নেয় আর আওয়ামী লীগ মানুষের চোখের আলো ফিরিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে বিএনপি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। কিন্তু বিএনপি জানে না, আওয়ামী লীগ ইস্পাতের সরকার। এখানে হাত দিলে হাত কেটে যাবে। কারণ জনগণের জন্য যারা কাজ করে, জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চক্ষু রোগীরা বিনামূল্যে চোখ অপারেশন ও চোখের লেন্স পাচ্ছেন। রোগীদের যে লেন্স দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটির দাম ২০-৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধ পাবেন এবং রোগীদের থাকা খাওয়ার ফ্রি ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা এবং দেশের মানুষকে ভালো ও শান্তিতে রাখা আওয়ামী লীগের কাজ। কারণ আমরা মনে করি দেশের মানুষকে ভালো রাখা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এই রাজনীতি আমরা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সামনে আমাদের নির্বাচন আসছে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন দেশে শান্তি-সমৃদ্ধি, উন্নয়ন আছে। দেশের মানুষ পিছিয়ে যেতে চায় না, বিএনপির অন্ধকার যুগে, বোমার যুগে যেতে চায় না। আমরা আশা করবো দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে শেখ হাসিনার দলকে, শেখ হাসিনার প্রার্থীকে জয়লাভ করাবে।

এ সময় ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন মো. মোয়াজ্জেম আলী চৌধুরী খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।