ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর মঙ্গলবার (৭ মার্চ) তৃতীয় দফায় দেশটিতে সফরে যান তিনি।
জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বুধবার (৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করতে আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনে পৌঁছেছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক সাংবাদিকদের বলেছেন, গুতেরেস ‘বর্তমানে ইউক্রেনে আছেন’।
এর আগে কিয়েভ যাওয়ার জন্য মহাসচিব পোল্যান্ডে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
এএফপি জানিয়েছে, বুধবার সকালে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাতের আগে আন্তোনিও গুতেরেসের মঙ্গলবার রাতে ইউক্রেনের রাজধানীতে পৌঁছানোর কথা ছিল। বৈঠক শেষে ওই দিন তিনি ইউক্রেন ত্যাগ করবেন এবং বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিরে আসবেন।
ফারহান হক বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে তার (আন্তোনিও গুতেরস) আলোচনার বিশদ বিবরণ আমরা আপনাদের দেবো।’
ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ নামে পরিচিত শস্য রপ্তানি প্রকল্প অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্য আরও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বৈঠকে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করবেন আন্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া এই সফরের বিষয়ে আর কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।
এর আগে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর গত বছরের এপ্রিল এবং আগস্টে ইউক্রেনে সফর করেছিলেন গুতেরেস। আর এবার আগ্রাসনের এক বছর পূর্তির পর ইউক্রেনে গুতেরেসের তৃতীয় এই সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর বার্ষিকীতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গুতেরেস ইউক্রেনে রাশিয়ার এই আক্রমণকে জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।
এএফপি বলছে, গত এক বছর ধরে গুতেরেস নিয়মিতভাবে কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। উভয় পক্ষ সংলাপ শুরু করতে চাইলে তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের এই মহাসচিব।