আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি খারাপ কিছু ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন আশঙ্কা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৫ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন।
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন যদি এ বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে হয়, অথবা আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হয়, তাহলে খুব বেশি সময় নেই। কাজেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই আমাদের সব প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর একটি চক্রান্ত আছে। তাদের কার্যক্রমে তারা জানান দিচ্ছে, তারা নির্বাচনে আসবেও না এবং নির্বাচন করতেও দেবে না। তারা ২০১৩-১৪ সালের মতো হুমকি দিচ্ছে। কিছু অশুভ আলামতও আমরা দেখছি। তারা হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমনও বলেছেন, নির্বাচনের সময় খারাপ কিছু ঘটলে আওয়ামী লীগ দায়ী থাকবে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় খারাপ কিছু ঘটানোর প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, সেই ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নি সন্ত্রাস, নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক পথে তারা (বিএনপি) ফিরে যেতে চায়। নির্বাচন বর্জন করে তারা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে যে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল, রক্ত ঝরিয়েছিল, মানুষ পুড়িয়ে তারা সারা বাংলাদেশে যে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, সেই ত্রাস ফিরিয়ে আনার জন্য তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
কাদের বলেন, হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা আগে থেকেই ষড়যন্ত্রের অন্ধ গলিতে হাঁটছে। ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, ষড়যন্ত্র করে যাওয়ার চক্রান্ত করছে। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচনে খারাপ কিছু ঘটানোর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এটা ১৩-১৪ সাল নয়, এখন ২০২৩ সাল, জনগণকে ভয় দেখাবেন না। বাংলার জনগণ ভয় পায় না।
তিনি বলেন, জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। যেকোনো ষড়যন্ত্র, অপকর্ম, সন্ত্রাস আমরা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আজ বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই, নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে। যেকোনো মূল্যে, যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইস্পাত কঠিন ঐক্য আমাদের রাখতে হবে হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে।
যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।