প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে চাই। উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি আপনাদের (প্রকৌশলী) হাতে, এটা মনে রাখতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন স্বাধীনতার দশ বছরের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতো।
আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬০তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শূন্য হতে যাত্রা শুরু করে মাত্র তিন বছর সাত মাস তিনদিন তিনি সরকারে ছিলেন। একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নত করা, একটি সংবিধান উপহার দেওয়া, রাস্তাঘাট পুল ব্রিজ আবার পুণর্গঠন, পুনর্বাসন করা, দেশকে আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে জাতিকে স্বল্পোন্নতদেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
শেখ হাসিনা বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কার কী লাভ হয় জানি না। সারা পৃথিবীর সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। আমাদের কিছু পদক্ষেপের ফলে মানুষের ওই কষ্টটা হয়নি। আমি কয়েকটা দেশ ঘুরে এলাম, লন্ডনে ৩টার বেশি টমেটো কিনতে দেবে না, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে দেবে না, এক প্যাকেট ডিম, খুব বেশি হলে ৬টা, তার বেশি কেউ কিনতে পারবে না। বাংলাদেশে সেই দুরবস্থা কিন্তু আসেনি।
তিনি আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে সাধারণ মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। যার কারণে রোজার সময় সকলকে বলে দিয়েছি, ইফতার পার্টি বন্ধ করে মানুষকে খাবার দিতে হবে, ইফতার দিতে হবে। এটা করেছে আমাদের দলের লোকেরা, তারা সক্রিয় ছিল। আমরা উচ্চ মূল্যে সব কিছু কিনে অল্প টাকায় ক্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কোটি মানুষকে টিসিভির কার্ড করে দিয়েছি। চাল, ডাল, তেল যেন কম দামে কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বলে গেছেন কৃষিযান্ত্রিকীকরণের কথা। আমরা ধীরে ধীরে তা করছি। হাওর অঞ্চলে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছি। অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ ভাগ। এটাতে অনেক উপকার হয়। আমাদের কৃষি যন্ত্রপাতিগুলো যেন স্বল্পমূল্যে কৃষক কিনতে পারে, সেটার জন্য আপনাদের চিন্তা করতে হবে। আমি হয়তো ভর্তুকি দিয়ে যাবো, সবাই তো সব সময় দেবে না। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। সেইভাবে আপানাদের আরও গবেষণা দরকার।