প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে ধারাবাহিকভাবে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি। সারাদেশের প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন এবং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ওধুষসহ ভিন্ন ভিন্ন পদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রান্তিক জনগণের মধ্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে দশ হাজারেরও বেশি সংখ্যক যোগ্য ও দক্ষ সরকারি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (১০ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। তিনি ‘ডিএমসি ডে-২০২৩’ উপলক্ষ্যে কলেজের বর্তমান ও সাবেক সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে সব হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় গবেষণা কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করতে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। দেশেই এখন আধুনিক ও উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে মানুষকে যেন দেশের বাইরে যেতে না হয়, সেজন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল’।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাম জড়িয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে চিকিৎসকার দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সব চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী দেশ ও মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে অবদান রাখার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে আরো তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।