বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। তাই আইন মেনেই পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আইডিইবির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের দুদিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তিনি কারাগারে ছিলেন। কিন্তু তার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে বাসায় থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাতে তিনি উন্নত চিকিৎসা পান, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাকে বিদেশে নিতে তার ভাই একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপর কিছু করতে হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থায় যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও গতকাল এটা নিয়ে ব্রিফ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সড়কে চারটি দেশকে স্পেশাল সিকিউরিটি দিয়ে আসছিলাম। এমনিতে তাদের দূতাবাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। আমি সংখ্যায় বলছি না, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সর্বোচ্চ পুলিশ পাহাড়ায় নিয়োজিত আছে।
তিনি বলেন, যখন তারা বাইরে যান আমরা গাড়ির একটা প্রোটেকশান দিতাম। কিছু মন্ত্রীর ক্ষেত্রে যেমন সামনে-পেছনে পুলিশের গাড়ি থাকে এমন চারটি দেশের রাষ্ট্রদূত চলাচলের সময় সে ধরনের প্রোটেকশন দিতাম।
আমরা সেই রাস্তার প্রোটেকশানে পুলিশের পরিবর্তে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট নিয়োগ করেছিলাম। যারা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম ও সেনাবাহিনী থেকে সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আমরা চেয়েছি রাস্তায় চলাচলের নিরাপত্তায় আনসার গার্ড রেজিমেন্ট থাকবে এবং একজন পুলিশ কমান্ডার থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে এটি দেওয়া হয়েছে সেটি তারা মেনে নিয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র একটু আপত্তি জানিয়েছে। এরপরও তারা মনে করলে এটা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে কথা বলবো, চিন্তা করবো।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চাই না, আমরা আলোকিত বাংলাদেশে থাকতে চাই। অন্ধকারাচ্ছন্ন আর না খেয়ে থাকার বাংলাদেশকেও আপনারা দেখেছেন। আজ সারাদেশ মনে করে তারা আর অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে না। আপনাদের কাছে আহ্বান সেটিই, আপনারা এ ধারা অব্যাহত রাখবেন। আপনাদের মাধ্যমে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই।