বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ পালন করবে দলটি।
এদিকে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীতে বিভিন্ন গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাতে বাসে আগুন দেওয়ার সময় মোহাম্মদপুরে দুইজনকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয়রা। তার যুবদল কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকার বাইরেও যানবাহনে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি বলেন, দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে উদ্ধারের লক্ষ্যে জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলায় ন্যায়ভ্রষ্ট আদেশ ও ফরমায়েশি একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ সব রাজবন্দি ও ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সারা দেশে আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে থেকে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেদিন এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। সমাবেশ ভন্ডুল করার প্রতিবাদে পরদিন হরতাল আহ্বান করে বিএনপি। ওইদিন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরের কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসব গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে মোটামুটি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় এর প্রতিবাদে ২ দিন হরতাল পালন করা হয়। এখন নিয়মিতভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি ও তার যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলো।