ধর্ম যাই হোক, দেশ সবার: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ধর্ম যাই হোক না কেন, দেশ আমাদের সবার।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেইলী রোড অফিসার্স ক্লাবে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, একটি দেশে বিভিন্ন ধর্ম অবলম্বী মানুষ বসবাস করবে। সেখানে যদি আমরা ধর্মীয় বিভক্তি সৃষ্টি করি এবং এটাকে নিয়ে যদি আমরা বাড়াবাড়ি করি তাহলে পৃথিবীর কোনো দেশেই বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা বসবাস করতে পারবে না। বাংলাদেশের তেমনি ভাবে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান আছে সব ধর্মের মানুষেরাই ধর্মীয় পুণ্যবোধ অনুযায়ী ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানগুলো পালন ও উপভোগ করবেন। অন্য ধর্ম অবলম্বীরা তাদেরটা পালন করবেন। এই আদর্শ ও বিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা আরম্ভ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন আত্মপ্রত্যয়ী এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে আমরা স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ধর্ম আমাদের যাই হোক, দেশ আমাদের সবার। আপনার ধর্ম আপনি পালন করবেন, আমার ধর্ম আমি পালন করব। হিন্দু ধর্মের যেমনি আচার-আচরণ আছে, ঠিক তেমনি মুসলমান ধর্মের আচার-আচরণ রয়েছে। হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠানে অনেক সময়, আমি নিজে সংহতি প্রকাশ করি। আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক এটা প্রচার ও প্রকাশের জন্য আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থিত হই।

বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র এই চারটি মূল মন্ত্রের ওপর দেশ প্রতিষ্ঠিত। এই মূল মন্ত্রগুলোকে ধারণ করে জাতীয় লক্ষ্য উন্নত দেশ গড়তে এগিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও অফিসার্স ক্লাব চেয়ারম্যান মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, খাদ্যমন্ত্রী শ্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিমন্ত্রী শ্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, ভূমি প্রতিমন্ত্রী শ্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, অফিসার্স ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন ও ভারতের হাই কমিশনার প্রশান্ত কুমার দাস।