
বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা অঞ্চলে হামলা চালানোর ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল যদি হামাসকে নির্মূল করেও থাকে তারপরও রাফায় প্রবেশ করবো।
জাতিসংঘ বলে আসছে, রাফায় অভিযান চালালে ফিলিস্তিনি অঞ্চলটিতে চরম ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোও রাফায় অভিযান না চালাতে ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে।
তবে নেতানিয়াহু বলেন, রাফায় সেনা অভিযানের সমালোচকরা আসলে ইসরায়েলকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাজয় মেনে নিতে বলছেন।
বক্তব্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিরও বিরোধিতা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি যতদিন ইসরায়েলের নেতৃত্বে থাকব, তত দিন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতির তীব্র বিরোধিতা করে যাব। ৭ অক্টোবরের ঘটনার পরও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে সন্ত্রাসবাদের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।
টেলিভিশনে নেতানিয়াহু যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন, তখনো তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা না করে তাদের ত্যাগ করেছেন নেতানিয়াহু। এই সময় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের আলোচনার আহ্বানও জানান বিক্ষোভকারীরা।
৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে গত চার মাসের বেশি সময়ে গাজার প্রায় সব অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বাকি আছে শুধু মিসর সীমান্তবর্তী রাফা।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন গাজার প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি। খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে সেখানে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। এই অবস্থায় রাফা অভিযান তথা হামলা শুরু হলে ব্যাপক বেসামরিক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে।