সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা সর্বাত্মক আন্দোলন করছেন। ৭ ও ৮ জুলাই ৫ ঘণ্টা রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধের পর ১০ জুলাই সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
তবে আজ শিক্ষার্থীদের কোনো ব্লকেড কর্মসূচি নেই। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও জেলার সমম্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া দাবির পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে অনলাইন-অফলাইন গণসংযোগ করবেন তারা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে আন্দোলনের সমম্বয়ক আবু বকর মজুমদার এই তথ্য জানান।
গত ৫ জুন ২০১৮ সালে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শুরুতে ৪ দফা দাবি জানালেও ৭ জুলাই থেকে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধান স্বীকৃত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা সংস্কার করা।
আন্দোলনের একাধিক সম্বয়ক জানান, সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্রনৃতাত্তিক গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পর্যন্ত কোটা থাকতে পারে। এই তিন জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিকে প্রদানকৃত কোটাকে তারা অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক মনে করেন। কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনের সমম্বয়ক মো মাহিন বলেন, কোটার সংস্কার না করা পর্যন্ত আমরা ফিরব না। সরকার শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে খেলছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কারও একার নয়। পেটে লাথি মারলে আমরা বসে থাকব না।