বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের শীর্ষ ২৪ কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্টাংশ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফন্টটিয়ার টেকনোলজির প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ টেলিযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার (প্রকৌশলী) শেখ রিয়াজ আহমেদ, ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল বারী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার (ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারোয়ার জাহান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন তালুকদার, এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনছুরুল আলম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন ও তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরিনের চুক্তির অবশিষ্টাংশ বাতিল করা হয়।
এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারওয়ার মাহমুদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনির চৌধুরী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৌজা প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. কফিল উদ্দিন, এস্টাব্লিস্টমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রকল্প পরিচালক মো. জহুরুল হক, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ এবং বঙ্গবন্ধু দারিদ্র বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক মোহা. বোরহানুল হকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্টাংশ বাতিল করা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা।
পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তবর্তী সরকার। এই সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে।