নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ নিয়ে যত কথা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ থেকে ১৯৭৮ সালে স্নাতক পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁর শিক্ষার্থী নম্বর ছিল সিসি ৫৯৪/৭৪ এবং পরীক্ষার রোল ছিল ১৬৫৯৪। ১৯৭৯ সালে তাঁকে ওই পরীক্ষা পাসের সনদ দেওয়া হয়। এমন তথ্য প্রকাশ করে বিজেপি।
এই তথ্যের প্রেক্ষিতে মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে দিল্লিতে ক্ষমতাসীন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। পার্টির নেতারা দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিজেপি যে তথ্য সামনে এনেছে, তা ভুল। নরেন্দ্র মোদির নামাঙ্কিত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ফলপত্র বিজেপি দেখিয়েছে, সেখানে সাল রয়েছে ১৯৭৭ এবং নাম রয়েছে নরেন্দ্র কুমার দামোদর দাস মোদি। কিন্তু তথ্যানুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর স্নাতক ডিগ্রির সাল ১৯৭৮ এবং মার্কসিটে নাম নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি।
এদিকে বিজেপির দেখানো শিক্ষা সনদ ‘সঠি’ বলে মন্তব্য করেছে দিল্লি ইউনিভার্সিটি (ডিইউ)। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি বলছে, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রকাশ করা তথ্যে সামান্য একটু ভুল আছে। ১৯৭৯ সালে মোদি স্নাতক শেষ করেছেন বলে জানানো হলেও আসলে এর আগের বছরই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন তিনি।
কিছুদিন আগে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় মোদির স্নাতকোত্তর ডিগ্রির তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, মোদির সনদে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই সনদ থেকে ‘কুমার’ শব্দটি ছেঁটে ফেলা হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারও জানিয়েছেন, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত সনদ দুটিতেও নামের এই পরিবর্তনের প্রমাণ রয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তরুণ দাস বলেন, ‘আমরা আমাদের পুরোনো তথ্য যাচাই করেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য সঠিক।