রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি।
হোয়াইট হাউজ বলছে, অবিস্ফোরিত বোমা থেকে সৃষ্ট বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকির কারণে যতদিন সম্ভব তারা সিদ্ধান্তটি স্থগিত রেখেছিল।
অস্ত্র ও গোলাবারুদের ঘাটতি থাকায় ইউক্রেন গত কয়েকমাস ধরেই সাহায্য চেয়ে আসছে।
বিশ্বের শতাধিক দেশ এই গুচ্ছ বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এটি এমন এক ধরনের যুদ্ধাস্ত্র, যাতে একাধিক বোমা থাকে, যা সাবমিউনিশন নামে পরিচিত।
হোয়াইট হাউজের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের যেকোনো সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করার জন্য ইউক্রেন যুদ্ধোত্তর নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অস্ত্র সরবরাহ করুক বা না করুক, নির্বিশেষে এটি প্রয়োজনীয় হবে কারণ রাশিয়ার গুচ্ছ অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন বিদেশি ভূমিতে এই যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করবে না। এটা তাদের দেশ, যা তারা রক্ষা করছে।
সুলিভান ব্যাখ্যা করেন, ইউক্রেনের গোলা-বারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের একটি সরবরাহ সেতু প্রয়োজন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র দেশীয় উৎপাদন বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এই সংঘাতের সময়ে আমরা ইউক্রেনকে কোনোভাবেই অরক্ষিত রাখব না
মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনে গুচ্ছ যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহে দ্বিধায় রয়েছে, কারণ এসব অস্ত্র বিস্তৃত অঞ্চলে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য হুমকি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই গুচ্ছ বোমার মজুত রয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রথম তৈরি করা হয়েছিল।
গুচ্ছ বোমা বিতর্কিত। কারণ, এগুলো মাটিতে পড়ে প্রায় সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে না। আর বিস্ফোরণ না হলেও বহুদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে এবং পরে ফাটার ঝুঁকি থেকে যায়।
সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গুচ্ছ যুদ্ধাস্ত্রের ব্যর্থতার হার আড়াই শতাংশের কম। রাশিয়ার গুচ্ছ যুদ্ধাস্ত্রের ব্যর্থতার হারের চেয়ে এর ব্যর্থতার হার যতটা সম্ভব কম বলে বর্ণনা করেন তিনি।