১ মার্চ ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত সরকারের
সরকার প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, গণতন্ত্র, নির্বাচন এবং ভোটাধিকারের বিষয়ে তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে দিসবটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি অথবা জুলাইয়ের ৭ তারিখকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে পালনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মন্ত্রিসভা ১ মার্চকেই ভোটার দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। আর ভোটার হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ১ জানুয়ারিতে ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হচ্ছে কি না- তা বিবেচনা করে ইসি।
নির্বাচন কমিশন যুক্তি হিসেবে বলে আসছিল যেহেতু প্রতিবছর ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর হন তারা ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন, তাই ১ জানুয়ারিকে ‘ভোটার দিবস’ করা যেতে পারে। অন্য দিকে নির্বাচন কমিশন গঠন করার দিনটি ৭ জুলাইকেও বিবেচনা করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু ১ জানুয়ারিকে সরকার আগে থেকে পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বছরের শুরুর দিনে সরকার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের সকল শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে দিনটিতে সারাদেশে নতুন বই বিতরণ করছে সরকার।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ‘ভোটার দিবস’ পালনের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রচার-প্রচারণার গতি বাড়বে।
যে কোন দিবস ঘোষণায় সরকারের সায় নিতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর গুরুত্ব বিবেচনায় ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণীর যে কোন একটি দিবস হিসেবে ভুক্ত করে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জাতীয়ভাবে এ দিবস কীভাবে উদযাপন করা হবে, সরকারের পক্ষ থেকে বাজেট কত বরাদ্দ দেয়া হবে, তা বিবেচনায় যে কোন একটি শ্রেণীতে রাখা হয় ওই দিবসকে।