সেতু নির্মাণে ভুল নকশায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

সেতু নির্মাণে ভুল নকশা প্রণয়ন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নড়াইল-কালিয়া মহাসড়কে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের সময় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেক সভায় আজ ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, নড়াইলে সেতু নির্মাণে ভুল নকশার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রকল্পের নকশা নির্ভুলভাবে তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, জমি অধিগ্রহণের সময় জমির ছবি তুলে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ছবি তুলে না রাখলে কেউ ভূমি অধিগ্রহণের খবরে বেশি টাকা পাওয়ার আশায় সেখানে স্থাপনা বানাতে পারেন।

মন্ত্রী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করায় একনেকের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছি আমরা। এসময় অন্যান্য কাজ যথাসময়ে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে– নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামক স্থানে নবগঙ্গা নদীর উপর কালিয়া সেতু নির্মাণ; বিআরটিসির জন্য সিএনজি একতলা এসি বাস সংগ্রহ; উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত); ধীরাশ্রম আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণসহ পুবাইল-ধীরাশ্রম রেল লিংক নির্মাণ; গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আগত দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ; সোনাগাজী ৫০ মেগাওয়াট (সংশোধিত ৭৫ মেগাওয়াট) সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত); চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিএমইউ) স্থাপন; চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন; বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত)।

এছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প (প্রস্তাবিত ১ম সংশোধন); চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন; বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ; গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন; বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প (এমডিএসপি) (৩য় সংশোধিত); কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলাধীন গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প; গুচ্ছগ্রাম-২য় পর্যায় (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট) (৪র্থ সংশোধিত) এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন সংক্রান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের সেক্টর প্রজেক্ট অনুমোদন দেওয়া হয়।